৹ শিয়া ধর্মমতে তাদের ইমামরা নবীগণের মত নিস্পাপ৷ সব ধরনের গুনাহ থেকে পবিত্র৷
৹ ইমামদের মর্যাদা নবুওতেরও উর্ধ্বে৷
৹ ইমামরা হযরত মোহাম্মদ সাঃ-এর সমমর্যাদার৷
৹ ইমামদের অতীত ও ভবিষ্যতের জ্ঞান অর্জিত ছিল৷
৹ ইমামগণ কিয়ামতের দিন সমসাময়িক লোকদের জন্য সাক্ষ্য দিবেন৷
৹ ইমামদের সামনে মানুষের দিবারাত্রির আমল পেশ করা হয়৷
৹ ইমামদের নিকট ফেরেশতা আশা যাওয়া করে৷
৹ প্রত্যেক জুমার রাতে ইমামদের মেরাজ হয়৷ তারা আরশ পর্যন্ত পৌঁছে৷ সেখান থেকে তারা অসংখ্য নতুন জ্ঞান ও প্রজ্ঞা লাভ করে৷
৹ আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা, নবী-রাসূলগণ কে যে সকল জ্ঞান দান করেছেন, তা ইমামদের অর্জিত৷ এছাড়া এমন আরো জ্ঞান অর্জিত হয়, যা ফেরেশতা, নবীগণকেও দান করা হয়নি৷
৹ ইমামরা তাদের মৃত্যুর সময় জানেন৷ তাদের মৃত্যু তাদের ইচ্ছাধীন৷
৹ ইমামদের নিকট পূর্ববতী পয়গাম্বরগণের মোজেযাও ছিল৷
৹ ইমামরা দুনিয়া ও আখেরাতের মালিক৷ তারা যাকে ইচ্ছা দান করেন এবং ক্ষমা করেন৷
৹ হযরত আলীর ইমামতি না মানার কারনে খলিফাত্রয় ও সাধারণ সাহাবায়ে কেরাম নিশ্চিত কাফের ও ধর্মত্যাগী৷
৹ ঈমান বলতে বুঝায় আমিরুল মুমিনীন আলী৷ কুফর বলতে বুঝায় আবু বকর৷ ফিসক(পাপাচার) বলতে বুঝায় ওমর৷ ইসিয়ান(অবাধ্যতা) বলতে বুঝায় উসমান৷
৹ আমিরুল মুমিনীন আলী থেকে নিয়ে বার জন ইমাম কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য নবীগণের ন্যায় আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনীত৷
৹ প্রত্যেক ইমামের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে মোহর আঁটা একটি ঘাম রাসূলুল্লাহর প্রতি নাযিল হয়েছিল৷ তাতে সে ইমামের জন্য নির্দেশাবলী ছিল৷
৹ রাসূলে খোদা ইমাম মাহদীর (অন্তর্হিত ইমাম) বয়াত করাবেন৷
৹ অন্তর্হিত ইমাম আত্মপ্রকাশের পর হযরত আয়েশা রাযিঃকে জীবিত করে শাস্তি দিবেন৷
৹ অন্তর্হিত ইমাম যখন আত্মপ্রকাশ করবে, তখন কাফেরদের পূর্বে সুন্নীদের কতল করবেন৷
৹ সাহাবায়ে কেরাম প্রায় সকলে বিশেষত খলিফাত্রয় কাফের, ধর্মত্যাগী, আল্লাহ ও রাসূলের বিশ্বাসঘাতক, জাহান্নামী ও অভিশপ্ত৷
৹ অন্তর্হিত ইমাম আত্মপ্রকাশ করার পর শায়খানকে কবর থেকে বের করবেন এবং হাজারবার শুলীতে চড়াবেন৷
৹ হযরত হাফসা ও আয়েশা মুনাফিক ছিলেন৷
৹ নবুওয়ত খতম হয়নি, উন্নত আকারে অব্যাহত রয়েছে৷
৹ পবিত্র কুরআনে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়েছে৷
৹ পবিত্র কুরআনের দুই তৃতীয়াংশ গায়েব করে দেয়া হয়েছে৷
৹ আসল কুরআন হল যা হযরত আলী সংকলন করেছেন৷ তা অন্তর্হিত ইমামের নিকট আছে, যা বর্তমান কুরআন থেকে ভিন্ন৷
৹ তাওরাত ও ইনজিলের ন্যায় কুরআনে পরিবর্তন হয়েছে৷
৹ কুরআনের একটি সূরা বর্তমান কুরআনে নেই৷ সেই সূরার নাম হল সূরায়ে বেলায়েত৷
৹ পবিত্র কুরআন ত্রিশ পারা নয়, চল্লিশ পারা৷
৹ কাবা অপেক্ষা কারবালা শ্রেষ্ঠ৷
৹ মুতা বিবাহ কেবল জায়েয ও হালালই নয়; বরং নামায, রোযা, হজ্ব থেকেও উত্তম ইবাদত৷
৹ আকিদায়ে খতমে নবুওয়তের অস্বীকার৷
এ হল শিয়া সম্প্রদায়ের কুফরী আকিদা-বিশ্বাস৷
বর্তমান ইরানে সুন্নীদের করুন অবস্থা সম্পর্কে অনেকে ওয়াকিফহাল নন৷ যদিও ইরানী শিয়ারা বিভিন্ন মুসলিম দেশে ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা, সহানুভূতির বাণী প্রচার করে বেড়ায়৷ কিন্তু ইরানের অভ্যন্তরে সুন্নীদের চিত্র নিম্নরূপ৷
০ সুন্নীরা ইরানের নাগরিক হওয়া সত্তেও তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত৷
০ রাজধানী তেহরানে সুন্নীদের পৃথক মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয় না৷
০ সরকার নিয়ন্ত্রিত কোন মসজিদে সুন্নী আলেমকে ইমাম নিয়োগ দিতে রাজি নয়৷
০ ইরানে সুন্নীরা শিক্ষা, চিকিৎসা ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত৷
No comments:
Post a Comment